বিদ্রোহী কবি নজরুলের যৌবনের গান প্রবন্ধের একটি উক্তি দিয়েই শুরু করা যাক-
“বহু যুবককে দেখিয়াছি যাহাদের যৌবনের উর্দির নিচে বার্ধক্যের কংকাল মূর্তি”
তো বিষয়টি এমনই। গত মাস ছয়েক আগেও এমনটি ধারনা ছিল যে- আমাদের তরুণ প্রজন্ম আত্মকেন্দ্রিক, সমাজবিমুখ, ভার্চুয়াল জগৎই তাদের ধ্যান ধারণা, বাস্তব জীবনের কোন কিছু সমর্পকেই তারা জ্ঞাত নয়। কিন্তু এ ধারনা যে ভুল তা আমাদের তরুন প্রজন্ম চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। রোদ,বৃষ্টি উপেক্ষা করে কিসের আশায় তারা রাজপথে নেমেছিল??
সান্তাহারের তরুন ছেলে-মেয়েরা আজ কিই বা বুঝানোর চেষ্টা করছে তাদের এসব দেওয়াল অংকন কিংবা পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি দ্বারা? একটি বিষয়ই প্রমাণিত হয় যে- তাদেরকে মূল্যায়ন না করা, তাদের মধ্যেও যে দেশপ্রেম বিদ্যমান তা না বুঝতে পারার ক্ষোভ তাদের আজ ঐক্যবোধ্য করেছে। না দিন, না রাত, না কোন কিছু পাওয়ার আশা-শুধু একটা সুন্দর সান্তাহার, একটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন জীবন, চাঁদাবাজ মু্ক্ত, দখলদারি মুক্ত সান্তাহার – এই তো তাদের চাওয়া।
সময় এসেছে প্রবীন সমাজকে তাদের বার্ধক্য থেকে বেড়িয়ে এসে এই যুবসমাজের আকাঙ্খাকে সম্মান করে তাদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে তারুণ্যের অগ্রযাত্রায় সামিল হওয়ার। কেননা তারাই তো আগামীর সান্তাহার, আগামীর সোপান।
একই সাথে নবীন-প্রবীনের হবে সমৃদ্ধ সান্তাহার, আর তা পারলেই হবে সমৃদ্ধ বাংলা।